লালু চোর



বইঃ লালু চোর

লেখকঃ মোশতাক আহমেদ 

প্রথম প্রকাশঃ ২০১৮

ধরণঃ কিশোর গোয়েন্দা উপন্যাস

প্রকাশনীঃ কথাপ্রকাশ

প্রচ্ছদঃ নিয়াজ চৌধুরী তুলি

মূল্যঃ ২০০ টাকা

রেটিংঃ ৯/১০


সারসংক্ষেপঃ 

(ফ্ল্যাপ থেকে)

শিশিলিন গোয়ন্দা সিরিজের ৮ম উপন্যাস লালুচোর। 

শিশিলিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান শিশিরের জুতা চুরি হয়ে যায় মসজিদ থেকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় শুধু শিশির নয় আরও দুইএকজনপর জুতাও চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে ভীষণ রাগান্বিত হয় লেলিন। কারণ শিশিলিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের জুতা চুরি!! সে এটিকে কেস হিসেবে গ্রহণ করে এবং জুতা চোরকে খুঁজতে শুরু করে। সাথে যোগ দেয় শিশিরও। কিন্তু তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে থাকে ইমরুল ও তার মামা। ইমরুলরাও একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছে। নাম দিয়েছে মামরুল। মামরুল শিশিলিনের নামে দুর্ণাম ছড়াতে থাকে,যেখানে গোয়েন্দারা নিজেদের সম্পদই ঠিকমত রাখতে পারে না সেখানে তারা অন্যের উপকার করবে কি করে?

শিশিলিন খোঁজ পায় জুতা চোর মফিজের। মফিজ প্রধান আসামী হিসেবে ধরে চলতে থাকে শিশিলিনের তদন্ত। কিন্তু মফিজই যে আসল চোর এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়। তদন্তে একসময় তাদের নজরে আসে লালু নামের ছোট্ট একটি বাচ্চা যে কিনা লেলিনের বয়সী। লালুই মূলত শিশিরের জুতা চুরি করেছিল। আসলে লালু জুতা চুরি করেছিল একজন সন্তানসম্ভবা মহিলাকে বাঁচানের জন্য।

মফিজ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় শিশিলিন। মফিজ ও হাসেম চাচা মিলে ডাকাতি করার প্লান করে। তারা ডাকাতি করতে সক্ষমও হয়। পুলিশবাহিনী  সারারাত টহল দিলেও মফিজরা ডাকাতি করে ভোরবেলা। শিশিলিলিনের বর্তমান লক্ষ্য ডাকাতি করা দ্রব্যসামগ্রীসহ মফিজদের আটক করা। সেই উদ্দেশ্যে শিশির ও লেলিন চলে যায় হাসেম চাচার খুপরির কাছে। খুপরির ভিতরটা দেখার জন্য শিশির ভিতরে ঢুকলে ধরা পড়ে যায় যায় হাসেম চাচার কাছে। ধরা পড়ে লেলিনও।কিন্তু ধরা পড়ার আগেই লেলিন ফোন করে সব জানায় সাব-ইন্সপেক্টর  ইমনকে।

শিশির আর লেলিনকে হত্যার জন্য উদ্বত হয় হাসেম চাচা। লেলিনকে হত্যার জন্য এগিয়ে যায় হাসেম চাচার সহযোগী সোয়েলমান। শিশির শেষ চেষ্টা করে নিজেকে মুক্ত করে বাধন থেকে। মুক্ত হয়ে কথার ছলে শিশির চলে আসে হাসেম চাচার কাছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাসেম চাচাকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসে শিশির। ফ্লাইং কিক দেয়  সোলেয়মান এবং আতর আলীকে। তারা উঠে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু ধরা পড়ে যায় সাব-ইন্সপেক্টর ইমনের হাতে। অবশেষে সব ডাকাত ধরা পড়ে। বিচারের মুখোমুখি করা হবে তাদের।

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ কিশোর উপযোগী অসাধারণ একটি উপন্যাস "লালুচোর"। ক্ষুদে গোয়ন্দাদের অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছেন লেখক উপন্যাসটিতে। বিশেষ করে লেলিনের বুদ্ধির প্রসংশা করতেই হয়। কারণ শিশির হাসেম চাচার বাড়িতে প্রবেশ করার পর বিপদের কথা অনুমান করে সাব-ইন্সপেক্টর ইমনকে ফোন করে লেলিন। যার ফলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আতর আলী,সোলেয়মানসহ সকল ডাকাত। অপরদিকে অসহায় শিশু লালুর প্রতি লেলিনের মমত্ববোধের দিকটিও লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post