বইঃ অমর মানব
লেখকঃ মোশতাক আহমেদ
প্রথম প্রকাশঃ ২০১৮
ধরণঃ সায়েন্স ফিকশন
প্রকাশনীঃ অনিন্দ্য প্রকাশ
প্রচ্ছদঃ নজরুল ইসলাম
মূল্যঃ ৩০০ টাকা
রেটিংঃ৯/১০
সারসংক্ষেপঃ
(ফ্ল্যাপ থেকে)
এক গোপন গবেষণায় প্রফেসর নিসিলিন আবিষ্কার করেন। নিসিলিনের মূল কাজ মানুষের বয়স কমিয়ে পঁচিশ-ত্রিশে স্থির করা এবং মানুষকে অমর করা। শিম্পাঞ্জির ওপর নিসিলিন প্রয়োগে চমৎকার ফল পান প্রফেসর কিম। এরপর তিনি নিজের শরীরেই প্রয়োগ করেন নিসিলিন। ধীরে ধীরে বয়স কমতে থাকে তার। ষাট থেকে পঞ্চাশ, চল্লিশ, ত্রিশ কমতেই থাকে। অবশ্য একসময় বুঝতে পারেন নিসিলিন মানুষকে অমর করতে পারলেও মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেবে। তাই তিনি নিসিলিন তৈরি না-করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ততক্ষণে গবেষণায় সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান জেনে গেছে নিসিলিনের সাফল্যের কথা। ঐ প্রতিষ্ঠান ইসান নামক এক ভয়ঙ্কর মধ্যস্ততাকারীর মাধ্যমে চাপ দিতে থাকে প্রফেসর কিমকে নিসিলিনের ফরমুলা দেওয়ার জন্য। কিন্তু রাজি হন না তিনি। পালিয়ে বেড়াতে থাকেন শহরের মধ্যে।ইসান ছাড়ার পাত্র নয়। নানাভাবে প্রফেসর কিম বেশ কিছুদিন পালিয়ে থাকতে পারলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন। আটক হন ইসানের জালে। তাকে এখন নিসিলিনের ফরমুলা দিতে হবে,না হলে নিশ্চিত মৃত্যু। শুরু হয় প্রফেসর কিমের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। মুক্তির জন্য পাগল হয়ে ওঠেন প্রফেসর কিম। কিন্তু কে উদ্ধার করবে তাকে? কেউ যে নেই। অবশেষে অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রাজি হন নিসিলিন তৈরিতে।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
অসাধারণ একটি বই। না পড়লে বোঝা যাবেনা। সবচেয়ে ভালো লেগেছে শিম্পাঞ্জি দুটোর চরিত্রকে। পশু হয়েও তারা মানুষকে বুঝতে পেরেছে। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো প্রফেসর কিম এর আবিষ্কার "নিসিলিন"। যেটি ব্যবহারের ফলে মানুষের বয়স কমবে এবং তাকে হত্য করা না হলে সে অমর থাকবে। আমিও চাই না এই নিসিলিন কোনদিন সত্যি সত্যি আবিষ্কার হোক। কারণ এটিই সত্যিই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করে দিবে।